আন্তর্জাতিকজীবনযাত্রা

কর্ণাটক হিজাব কাণ্ডে টিসি নিয়েছে ১৬ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী 

কর্ণাটকে হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্কের জেরে ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের (এমইউ) অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত ১৬ শতাংশ মুসলিম ছাত্রী টিসি নিয়েছে। যাদের মধ্যে কিছু অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছে, আবার কিছু শিক্ষার্থী পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছে।সূএ: হিন্দুস্তান টাইমস।

ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ কন্নড় ও উডুপি জেলার কলেজগুলোতে ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন কোর্সের জন্য ভর্তি হওয়া মোট ৯০০ জন মুসলিম ছাত্রীর মধ্যে ১৪৫ জন টিসি নিয়েছে। দক্ষিণ কন্নড় এবং উদুপি জেলায় ৩৯টি সরকারি এবং ৩৬টি এমপিওভুক্ত কলেজ রয়েছে। তথ্যে দেখা গেছে, সরকারি কলেজ থেকেই বেশি পরিমাণে টিসি নেওয়া হয়েছে।

হিজাবের অধিকার নিয়ে আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা গাউসিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ ম্যাঙ্গালুরুতে পঞ্চম সেমিস্টার পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছেন। তিনি তার কলেজ থেকে টিসি নিয়ে অন্য একটি বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, মুসলিম শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থার জন্য দায়ী শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ। তার নীতির কারণেই আজ মুসলিম মেয়েরা টিসি নিয়ে চলে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সংবিধান অনুসারেই তাদের অধিকার চেয়েছিল। কিন্তু সরকারের নীতির কারণে অনেক মুসলিম শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

গাউসিয়ার কথা জবাবে উডুপি সরকারি পিইউ গার্লস কলেজের উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি যশপাল সুবর্ণ বলেন, যারা নিয়ম মানতে প্রস্তুত নয়, তাদের কলেজ ছেড়ে দেওয়া উচিত। তারা বলেছে শিক্ষা না পাওয়ার জন্য মন্ত্রী দায়ী, কিন্তু সত্য হলো তারা শিক্ষার গুরুত্ব জানে না। এখন তারা যদি অন্য কলেজে যোগ দিতে চায়, দিতে দাও। আমরা পাত্তা দিই না। আমরা কাউকে বিশেষ সুবিধা দেবো না।

গত বছরের ডিসেম্বরে কর্ণাটকের একটি কলেজে কয়েকজন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্লাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ১ জানুয়ারি তারিখে কলেজ উন্নয়ন পরিষদ ক্যাম্পাসের ভেতরে হিজাব নিষিদ্ধ করার একটি আদেশ পাস করে। মুসলিম শিক্ষার্থীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

ফেব্রুয়ারি নাগাদ রাজ্য জুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি আদালতেও যায়। কিন্তু সেখান থেকেও মুসলিম শিক্ষার্থীর পক্ষে রায় আসেনি।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *