রেললাইন বসানোর কাজ শুরু পদ্মা সেতুতে
আজ (২০ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে রেললাইন বসানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ এবং মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ, ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ। এছাড়া কাজের ফাইন্যান্সিয়াল অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ এবং ফিজিক্যাল অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।
গত ১৭ জুলাই সেতু কর্তৃপক্ষ রেল কর্তৃপক্ষকে সেতুতে রেললাইন স্থাপনের অনুমতি দেয়। এরপর বিশেষজ্ঞরা নানা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয় রেললাইন বসানোর। ট্র্যাকটি স্থাপন হচ্ছে পাথরবিহীন। উচ্চ তাপমাত্রার কনক্রিট এম সিক্সটি ব্যবহার করা হবে এ কাজে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই রেলমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে। সময়মতো বাস্তবায়নে প্রকল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। শুরুতে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে একই দিনে রেল চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু রেললাইন বসানোসহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পিছিয়ে আছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে সরকারের সেতু বিভাগ। সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল নিশ্চিতের দায়িত্ব বাংলাদেশ রেলওয়ের।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।