ফেসবুক কর্নারবিনোদন

প্রতিদিন রাত্রে খান সাহেবের একটি বোতল এবং একটি রাতের রাণী প্রয়োজন হয়:শুভজিৎ

শাকিব খান বাংলাদেশের সিনেমা জগতের সব থেকে বড় সুপারস্টারের নাম। তিনি গেলো কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করে আসছেন বেশ সফলতার সাথে। তবে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি বরাবরই সমালোচনার খোরাক হয়েছেন সকলের কাছে। বিশেষ করে একে একে দুইটি বিয়ে এবং দুইটি সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। এবার তাকে নিয়ে বেশ কিছু গোপন কথা বলে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন শুভজিৎ ভৌমিক।

কানে কানে একটা গল্প বলি। কাউকে বলবেন না।

আপনারা জানেন যেঃ বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ার দিকে, বয়স একটু বাড়তে থাকলে যখন মার্কেট নামতে শুরু করে, ওই সময় নায়ক-নায়িকারা সবাই আস্তেধীরে দেশের বাক্স-প্যাটরা গুছিয়ে বিদেশে রওনা দেয়।

সাধারণত একটা পর্যায়ে এনারা আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়া ইউকে – এইসব দেশের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যায়।

তো আমাদের কিং খান বাবাজি, অনেক আগে থেকেই টুকটাক বিদেশে ট্রাই করছিলেন, কোনো একটা দেশে সেটেল করার জন্য। সেই সূত্রে একবার উনি শুটিং করতে, এবং সম্ভাব্য বিজনেস অপরচুনিটি সহ সেটেলমেন্টের অপশন দেখতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে আসেন।

ঢাকা থেকে সাভার যেমন, ওইরকম সিডনি শহর থেকে সামান্য দূরে “বারডিয়া” নামে একটা জায়গা আছে। ওইখানে উনি বেশ জমিজমা কিনেছেন। এই জমিজমা কেনা একটা ব্যবসায়িক ইনভেস্টমেন্ট, এবং এই সূত্রে বিভিন্ন লাইনঘাট ধরে – সিটিজেনশিপ পাওয়ার কিছু বিষয়াদি আছে। উনি ওই লাইনে আগাইতে চেয়েছিলেন।

সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়ঃ তার স্বভাব

শুটিং চলাকালীন প্রতিদিন রাতে – রাজা সাহেবের একটি বোতল এবং একটি রাতের রাণী প্রয়োজন হতো।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া-পাকিস্তান থেকে বিগ স্টারেরা বিদেশে আসলে, আয়োজকদের সাথে লাইনঘাট করে প্রবাসী কিছু স্থানীয় বাঙালি মেয়েরা এইসব স্টারেদের সাথে খাতির জমানোর চেষ্টা করে, যাতে দেশের মিডিয়াতে কিছুটা হাইলাইট পাওয়া যায়, টুকটাক নাটক সিনেমাতে অভিনয়ের লাইনঘাট ওপেন হয়ে যায়।

শুটিং পার্টি এই সুযোগটা নেয়। রাজার যেহেতু মেয়ে দরকার, আর উনার মন-মেজাজ ভালো হইলে ছবির কাজ তাড়াতাড়ি আগাবে, সেহেতু এই আগ্রহী মেয়েদের মধ্য থেকেই ওনাকে রাতের রাণী সাপ্লাই দেয়া হইতো।

মেয়েদের কানে কানে বলে দেয়া হইতো, রাতের বেলা উনি বোতলের ধাক্কায় হুঁশে থাকেন না। ওই সময় ওনারে ম্যানেজ করা সহজ হবে, যাও গিয়া রাতে ওনারে সঙ্গ দাও।

সিডনির এক মেয়ে গেছিলো রাজার কাছে, নাইট শিফটের বারটেন্ডারিং করতে।

বিদেশী বোতল আর প্রবাসী নারীর আতর ও আদরের সুগন্ধ পাইয়া, মাথায় মাল উইঠা গেছিলো রাজা মশাইয়ের। কল্পনার জগতকে বাস্তবে রূপায়নের জন্য উনি BDSM ট্রাই করতে গেছিলেন, এবং ফলাফল হিসাবে পিটায়া সেই মেয়ের পশ্চাৎদেশ লাল-নীল-বেগুনি বানায়া ফেলছিলেন।

আহত মেয়েটা পুলিশে কমপ্লেইন করতে গেছিলো। খাড়াদণ্ডের শাস্তি হিসাবে কারাদণ্ড পাইতে বসছিলেন আমাদের রাজা মশাই। সিরিয়াস নাটক হইছিলো এই নিয়ে সিডনিতে ওই সময়, এবং এইখানকার বাঙালি সবাই কমবেশি ঘটনাটা জানে।    

প্রচুর টাকা-পয়সা খরচ করে সেই মেয়েকে অফ করা হয়েছিলো। মেয়েটা এখনও সিডনিতে থাকে। তবে, সেই ইতিহাসের অংশ হিসাবে রাজা মশাইকে আর কোনোদিন অস্ট্রেলিয়াতে দেখা যায়নি।

পাপ থেকে দূরে থাকার অংশ হিসাবে উনি নটি আমেরিকাতে চলে গেছেন, সেইখানে খুঁটি গাঁড়ার চেষ্টা করেছেন।

কেউ যদি কোনোদিন এই রাজার কোনো জীবনী লেখে, সেইখানে ইন্টারেস্টিং কাহিনীর মাশাল্লা অভাব হবেনা, গ্যারান্টি দেয়া যায়।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *