নারায়ণগঞ্জে বিএনপি -পুলিশ সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত, আহত ৫০
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে যুবদলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম শাওন মাহমুদ (২০)। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তা শেখ ফরহাদ বলেন, শাওন মাহমুদকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তাঁর শরীরে গুলির চিহ্ন আছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় মিছিল বের করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, বিনা উসকানিতে নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিপেটা শুরু করেছে পুলিশ। এর পরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে পুলিশও রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘বিএনপি বিনা অনুমতিতে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছিল। আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমাদের ১৫ জন সদস্য আহত হয়েছে।’
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমি সহ দলের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ গুলি ছুড়েছে। আমি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছি। এই সংঘর্ষে যুবদলের শাওন নিহত হয়েছে। এ ছাড়াও আরও একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি, তবে তার নাম পাইনি। আরও অনেক নেতাকর্মী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করতে শহরের চুনকা পাঠাগার থেকে আমরা মিছিল নিয়ে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে সময় পুলিশ এসে বাধা দেয়। পরে সেখান থেকে চলে আসার সময়ে শহরের ২নং রেল গেটের কাছে আসলে পুলিশ ফের বাধা দেয় ও লাঠিচার্জ করে। পরে তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।’