বৃহস্পতিবার ‘শহীদী মার্চ’ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাস পূর্ণ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। তাই আগামীকাল পাঁচই সেপ্টেম্বর সারা দেশে ‘শহীদী মার্চ’ পালন করার ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় তার সঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সারা দেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর কর্মসূচি শুরু করা হবে।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে ইউনিয়ন থেকে মহানগর সব পর্যায়ে শহীদদের স্মৃতি ধারণ করে, আহত ভাই-বোন যারা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, যে ভাই-বোন হাত-পা-চোখ হারিয়েছে, তাদের স্মরণ করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করা হবে।’ যে যার জায়গা থেকে শহিদদের ছবি, বিভিন্ন শ্লোগানসহ প্লেকার্ড নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

গত পাঁচই অগাস্ট যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে “আবাবিল পাখির মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটায়”, ঠিক সেভাবেই আগামীকালের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বস্তরের মানুষের “স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ” চান তিনি।
সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সবাইকে সংগঠিত করার জন্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর শুরু করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আমরা জনগণের সাথে কথা বলব, তারা কী চায় সেটা জানব, আমরাও কিছু পরামর্শ দেব। এরপর মানুষ যা চায় আমরা তা বাস্তবায়ন করব।
সারজিস বলেন, ‘আগামীকাল বিকেল ৩টায় ঢাকায় শহীদি মার্চ শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে। এরপর নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে।’
সেখানে আহত এবং শহীদদের অভিভাবকদেরকেও অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান সমন্বয়করা।
এতে যারা অংশ নেবেন তাদের উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, আপনারা যেমন বাংলাদেশ দেখতে চান, তা ব্যানারে লিখে নিয়ে আসবেন। এছাড়া কীভাবে সংবিধান বা দেশের উন্নয়ন করা যায় সেগুলোও ব্যানারে লিখে আনার পরামর্শ দেন তারা।