ঢাকায় ৩ ঘণ্টায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা
রাজধানী ঢাকায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। এতে সকালে যাঁরা রাস্তায় বের হন, তাঁদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ ছাড়া সড়কে পানি জমায় সকালে গণপরিবহনের সংখ্যাও তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগেই আজ বৃষ্টি হয়েছে বেশি। এর মধ্যে রাজধানীতে তিন ঘণ্টায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আজ এই দুই বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। অন্য বিভাগগুলোর কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া গত রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ২২, টাঙ্গাইলে ১৭, কিশোরগঞ্জে ৬২, চট্টগ্রামে ৯১, চাঁদপুরে ৩৫ ও নোয়াখালীতে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে রাজশাহী ও রংপুরে বৃষ্টি হচ্ছে তবে পরিমাণ জানা যায়নি।
আজ মঙ্গলবার দিনের প্রথম প্রহর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর থেকেই মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, গুলশান, বারিধারা, বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
ভাদ্রের মাঝামাঝিতে এমন বৃষ্টিকে বর্ষার স্বাভাবিক বর্ষণ বলেই মনে করছেন অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা।
গতকাল সোমবার থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘলা ছিল।
দিনের বেলায় কিছুটা বৃষ্টি ঝরে। পরে আজ ভোর পাঁচটার পর শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। পরে থেমে থেমে বৃষ্টি চলে। সকালের এ বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। ২০ আগস্ট থেকে প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১১টি জেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়। এতে অর্ধকোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং সিলেটের ৪ জেলাসহ ১৫ জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।