এখনো পানিবন্দি ৭ লাখ পরিবার
দেশের উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ১১ জেলায় ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ জনে। এ ছাড়া এবারের বন্যায় ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই দুর্যোগ কাটতে শুরু করেছে। এছাড়া এখনও পানিবন্দি হয়ে আছেন প্রায় ৭ লাখ ৫ হাজার ৫২টি পরিবার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, এখনো দেশের বন্যা আক্রান্ত জেলা ১১টি। সেগুলো হলো ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর এবং কক্সবাজার। এখনো দেশের ৬৮টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা রয়েছে ৫০৪টি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বন্যায় গতকাল নতুন করে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ছয় জন এবং শিশু ১২ জন। এদের মধ্যে কুমিল্লায় মারা গেছেন ১৪ জন, ফেনীতে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ছয় জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে ৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন, কক্সবাজারে তিন জন এবং মৌলভীবাজারে একজন। এছাড়া এ সময়ে মৌলভীবাজারে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দিতে ৩ হাজার ৮৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেখানে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৪২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ৩৪ হাজার ৫১৮টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে ৫১০টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে শিগগিরই বন্যার্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।