জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। স্ত্রী ইসরাত জাহানের মামলায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়। আজ ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই পরোয়ানা জারি করেন।
বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে মামলাটি করেন স্ত্রী ইসরাত জাহান।
ইসরাতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় আজ আদালতে আল আমিনের জবাব দেয়ার দিন ঠিক করা ছিল। আল আমিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন।
অন্যদিকে আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। শুনানি শেষে আদালত পরোয়ানা জারি করে।
এর আগে ৬ অক্টোবর একই আদালতে হাজির হন আল আমিন। পরে মামলার বিষয়ে সাত পাতার লিখিত জবাব দেন তিনি।
জবাবে আল আমিন উল্লেখ করেন, তিনি গত ২৫ আগস্ট স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। মোহরানা ও খোরপোশ দিতে রাজি আছেন ক্রিকেটার। আর দুই সন্তানের খরচ তিনি নিয়মিত দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান বলেছিলেন, ‘আমি তালাকের বিষয়ে কিছুই পাইনি। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। আমি ন্যায়বিচার চাই।’
তালাক নিয়ে জানতে চাইলে আল-আমিন বলেছিলেন, ‘এখনও কিছু হয়নি ভাই। আমার উকিল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদের জানিয়ে দেবেন। নিউজ তো কত কিছুই হয়। যে যেভাবে পারছে মজা নিচ্ছে।
‘আসলে কী হয়েছে বা হচ্ছে, সেটা জানার আগেই নিউজ করে দিচ্ছে। এখনও কিছুই হয়নি। হলে আমি জানিয়ে দেব।’
গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান আল আমিন।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর আল আমিন হোসেনের নামে পারিবারিক সহিংসতা আইনে মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান।
মামলায় ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বাসায় শান্তিপূর্ণভাবে থাকার অধিকার এবং মাসিক ভরণপোষণ দাবি করেন। জীবনধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া বাবদ মাসে ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলেও দাবি করেন তিনি।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাত জাহান ও আল-আমিনের বিয়ে হয়। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজখবর নেন না এবং ভরণপোষণও দেন না।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন; সংসার করবেন না বলেও জানান। ইসরাত তখন ৯৯৯ নম্বরে কল করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবেন না; সন্তানদের ভরণপোষণও দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকারের পতন ঘিরে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত…
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতকে একহাত নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড.…
পদত্যাগ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ কমিশনার । আজ বৃহস্পতিবার (৫…
৮ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে ,মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর…
জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি ভবিষ্যতে ‘জাতীয় সরকারের’ মাধ্যমে দেশ পরিচালনা চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত…
স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার কবলমুক্ত হওয়ার এক মাস পার করছে বাংলাদেশ। আজ থেকে ঠিক একমাস…