ঢাকাসারাদেশ

অভিমান করে নদীতে ঝাঁপ দেয় মাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলে নিখোঁজ

 ছেলের সঙ্গে অভিমান করে লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেয়া মা। এ সময় মাকে বাঁচাতে ছেলেও ঝাঁপ দেয় নদীতে। মা জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছো নাঈম হোসেন (২১)। নিখোঁজ নাঈম হোসেন শরীয়তপুরের সুখীপুর উপজেলার আক্তার হোসেনের ছেলে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চঘাটের উল্টো দিকে নারায়ণ জেলাধীন চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ নাঈম হোসেন শরীয়তপুরের সুখীপুর উপজেলার আক্তার হোসেনের ছেলে। নাঈমকে উদ্ধারে পাগলা কোস্টগার্ড ও পুলিশের দুটি উদ্ধারকারী দল এবং একটি ডুবুরি দল কাজ করছে। তবে আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত নাঈমের কোনো খোঁজ মেলেনি।

কোস্টগার্ড ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাঈম হোসেন ও তার মা জামিরুন বেগম (৪০) বাইজিদ জুনাইদ-১ লঞ্চ করে শরীয়তপুর ধুলারচর থেকে ঢাকা সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চঘাটের বিপরীতে চর কিশোরগঞ্জ এলকায় আসে। এ সময় চলন্ত লঞ্চ থেকে জামিরুন বেগম নদীতে লাফিয়ে পড়েন। মাকে বাঁচাতে ছেলেও লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর পানিতে তলিয়ে যান নাঈম।

গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইজাজ উদ্দিন আহমেদ নাঈমের মায়ের বরাত দিয়ে বলেন, লঞ্চে ওঠার পর নাঈম তার মা জামিরুনের কাছে টাকা চাইছিলেন। তবে জামিরুন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে নাঈম বাগ্‌বিতণ্ডা করেন। একপর্যায়ে টাকা না দিলে নাঈম তার মায়ের গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়ার বলে হুমকি দেন। এ সময় নাঈম তার মায়ের গলায় হাত দিলে, তার মা ক্ষোভে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে মাকে বাঁচানোর জন্য সঙ্গে সঙ্গে নাঈম নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে স্থানীয় ট্রলারচালকেরা জামিরুনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তবে সাঁতার না জানায় নাঈম পানিতে ডুবে যান।

পাগলা কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে পাগলা কোস্টগার্ড ও পুলিশের দুটি উদ্ধারকারী দল ও একটি ডুবুরি দল কাজ করছে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *