বিনোদন

মাইসোরের ৩০০ টাকা নিয়ে ঘরছাড়া যশের আয় এখন কোটি টাকা

ভারতের সবচেয়ে আলোচিত তারকা যশ। কন্নড় সিনেমার এই অভিনেতা ‘কেজিএফ’ সিনেমার সুবাদে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ইতোমধ্যে তার অভিনীত ‘কেজিএফ ২’ সিনেমাটি ১ হাজার কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে।

রকি ভাইয়ের চরিত্রে পর্দা কাঁপানো সুপারস্টার যশের শুরুটা ছিল বেশ কষ্টের।মাত্র ৩০০ টাকা নিয়ে ঘরছাড়া হয়েছিলেন তিনি। এখন আয় করছেন কোটি কোটি টাকা। একের পর এক ছবির অফারও রয়েছে তার ঝুলিতে। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর সুদৃশ্য ডুপ্লেক্সে থাকছেন।

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম যশের। চোখে স্বপ্ন ছিল হিরো হওয়ার। সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটতেই বাড়ি ছেড়েছিলেন। সেই সময় তার পকেটে ছিল মাত্র ৩০০ টাকা। তখন অবশ্য তার নাম ছিল নবীন কুমার গৌঢ়া। বাবা ছিলেন বাসের কন্ডাকটর আর মা গৃহিণী।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোনো সম্পর্কই ছিল না তার। আজ যে সাফল্য পেয়েছেন তা নিজের পরিশ্রমে। একাধিক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। চড়াই-উতরাইয়ের মুখে কখনও হার মানেননি। সেই কারণেই কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে কাজ করার পর আজ প্যান ইন্ডিয়ান স্টার তিনি।

এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যশ নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি মাইসোরের বাসিন্দা ছিলেন। হাসান গ্রামে জন্ম হয়েছিল তার। বেড়ে ওঠাও সেখানেই। তাদের পরিবারকেও একসময় অর্থকষ্টে ভুগতে হয়েছে।

যশের কথায়, আমার বাবা বিএমটিসি বাস চালাতেন। মা ছিলেন গৃহবধূ। আমি ছোট থেকেই অভিনেতা হতে চেয়েছিলাম। একজন অভিনেতার ওপর সবার নজর থাকে। ওই অ্যাটেনশনটা পেতে ভালো লাগত। সেই কারণেই ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। নিয়মিত নাচও করতাম। এতে খুব আনন্দ পেতাম। এভাবেই শুরুটা হয়েছিল। আর আজ আমি এই জায়গায়।

যশ সবসময়ই নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। তিনি বলেন, আমি সবসময়ই অভিনেতা হতে চাইতাম বললে ভুল বলা হয়। আমি সুপারস্টার হতে চাইতাম। কখনও ভাবিনি যে অভিনয় এতটা কঠিন কাজ। ছাত্রবস্থা থেকেই শিক্ষকরা আমাকে ‘হিরো’ বলে ডাকতেন। এতে ভালো লাগত। আসলে তখন অনেক ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতাম। আর সেই কারণেই শিক্ষকরা বলতেন, ছবি কই?

একসময় কষ্ট করা যশের সম্পত্তির মূল্য এখন ৩৮ কোটি। এক্ষেত্রে প্রভাসের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে তিনি। তবে প্রভাস প্রায় দ্বিগুণ সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। জানা গেছে, প্রতিটি ছবির জন্য দু’কোটি টাকা চার্জ করেন দক্ষিণী এই তারকা। প্রতি মাসে তার আয় গড়ে ৫০ লাখ টাকা। বার্ষিক আয় পাঁচ কোটির কাছাকাছি। ছবি ছাড়াও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং প্রোমোশনও করেন তিনি। সেখান থেকেও মোটা টাকা আয় করেন।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ভারতজুড়ে বিপুল ভক্ত তৈরি হয়েছে যশের। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চাইছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তার কাছে আসছে বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণার প্রস্তাব। কিন্তু টাকার জন্য নিজের আদর্শ বিকিয়ে দিতে নারাজ যশ।

NewsDesk

Recent Posts

ভিসা আবেদনকারীদের যে বার্তা দিল মার্কিন দূতাবাস

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকারের পতন ঘিরে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত…

1 year ago

শেখ হাসিনা ও ভারতকে সতর্কবার্তা দিলেন ড. ইউনূস

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতকে একহাত নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড.…

1 year ago

নির্বাচন কমিশন পদত্যাগের ঘোষণা

পদত্যাগ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ কমিশনার । আজ বৃহস্পতিবার (৫…

1 year ago

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস ৮ জেলায়

৮ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে ,মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর…

1 year ago

জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ সংসদ চান তারেক রহমান

জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি ভবিষ্যতে ‘জাতীয় সরকারের’ মাধ্যমে দেশ পরিচালনা চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত…

1 year ago

স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ১ মাস পূর্তি

স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার কবলমুক্ত হওয়ার এক মাস পার করছে বাংলাদেশ। আজ থেকে ঠিক একমাস…

1 year ago