ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জীবনকে (৩৩) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেল ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পরিচিত ছিলেন সাইফুল ইসলাম জীবন।
সাইফুল ফরিদপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম মহল্লার মাজেদ মল্লিকের ছেলে। দীর্ঘ দুই বছর চার মাস আত্মগোপন থাকার পর রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন সাইফুল। আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, আদালতে জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর সাইফুলকে জেলা করাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখের আদালতে দুটি এবং অতিরিক্ত জেলা জজ-২-এর শিয়াবুল ইসলামের আদালতে একটি মামলায় জামিনের আবেদন করেন সাইফুল ইসলাম। শুনানি শেষে তিনটি মামলাতেই তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।
সাইফুলের আইনজীবী শফিক মুন্সি বলেন, প্রথমে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে একটি মামলার শুনানিতে জামিন নাকচ করা হয়। পরে জেলা জজ আদালতে বাকি দুটি মামলার শুনানিতে জামিন নাকচ হয়ে যায়। তিনটি মামলার মধ্যে রয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর ওপর হামলা ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগে মামলা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের ওপর হামলা ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগে মামলা এবং বিআরটিসির ব্যবস্থাপক দুলাল লস্করের করা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রুবেল-বরকতের নামে ঢাকার কাফরুল থানায় যে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), সেই মামলার তালিকাভুক্ত আসামি সাইফুল। তার নামে অর্থ পাচার মামলা ছাড়াও ছোটন হত্যা মামলা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার অভিযোগে মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে।
২০২০ সালের ১৬ মে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ১৮ মে মামলা করেন সুবল চন্দ্র সাহা। ওই মামলার সূত্র ধরে একই বছর ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। ওইদিন ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শহরতলির বদরপুরের আফসানা মঞ্জিল নামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুবেল-বরকতসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন সাইফুল। রুবেল-বরকত এখনো কারাগারে আছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকারের পতন ঘিরে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত…
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতকে একহাত নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড.…
পদত্যাগ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ কমিশনার । আজ বৃহস্পতিবার (৫…
৮ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে ,মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর…
জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি ভবিষ্যতে ‘জাতীয় সরকারের’ মাধ্যমে দেশ পরিচালনা চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত…
স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার কবলমুক্ত হওয়ার এক মাস পার করছে বাংলাদেশ। আজ থেকে ঠিক একমাস…