মোটরসাইকেল থামিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ চালক গ্রেপ্তার
ভোলার চরফ্যাশনে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আল আমিন নামের এক মোটরসাইকেল চালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার(২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের ওই ভুক্তভোগীর মা নুর নাহার বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে চরফ্যাশন আদালতে সোপর্দ করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের পুর্ব মাদ্রাজ গ্রামের হারুন চৌকিদারের ছেলে। সে পেশায় একজন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভুক্তভোগী তরুণীসহ তার মামাতো বোন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলযোগে তাদের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে চালক আল আমিন পথের মধ্যে তাদের উত্ত্যক্ত শুরু করে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। স্লুইজ গেট এলাকায় এলে তাদের দুজনকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে টানাহেঁচড়া করতে থাকে সে।
ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ভুক্তভোগী তরুণী ও তার মামাতো বোন দুজন দুদিকে ছুটে যান। এ সময় আল আমিন ভুক্তভোগীকে জাপটে ধরে বেড়িবাঁধের ঢালের কেওড়া বনে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার সঙ্গে থাকা মামাতো বোন বিষয়টি স্থানীয়দের জানান।
পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে ধর্ষক আল আমিন টের পেয়ে ভুক্তভোগীকে বনের মধ্যেই ফেলে রেখে পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী তরুণী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার মা ও পরিবারের সদস্যদের জানান। পরে মঙ্গলবার তার মা বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় মামলা একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোরাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী তরুণীর মা নুর নাহার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক আল আমিনকে আটক করে চরফ্যাশন আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। ভুক্তভোগী তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।