ঢাকাবিশেষ সংবাদ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীর নাম ছন্দা রায়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তিনি তার স্বামীর সঙ্গে ঢাকার মুগদায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকার মুগদা থানার মানিক নগর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ছন্দা রায়ের মেজ বোন দ্বীপা রায় বলেন, ‘তিন মাস আগে পছন্দের ছেলের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেই। তার স্বামী উত্তম কুমার বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত। চাকরি সূত্রে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকতো আমার বোন। সোমবার বিকেলে নিজ রুমের ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না পিছিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোন মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছে। তাতে লিখা ছিল- আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি তার হাতের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছি এটা ওরই হাতের লেখা।’

ছন্দা রায়ের স্বামী উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘আমি অফিস থেকে দুপুরে ছন্দাকে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম। কিন্তু সে রেসপন্স করেনি। বিকেলে এসে দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। বারবার বলার পরও দরজা না খুলছিল না। আমি বাসার কেয়ারটেকারকে নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী সুইসাইড করেছে।’

মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, সোমবার বিকেলে ছন্দা রায় নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

ওসি আরও বলেন, একটি ইউডি মামলার এজাহার দিয়েছে তার পরিবার। আমরা মামলা নথিভুক্ত করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন করবেন তারা।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে আমরা বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারছি না। তিনমাস হলো বিয়ে হলো ছন্দা রায়ের। এরই মধ্যেই সে আত্মহত্যা করেছে। কী এমন হয়েছে তার সঙ্গে জানি না। তার মৃত্যুর জন্য সমাজ, পরিবার ও তার স্বামী দায়ী। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে প্যারিস রোডে মানববন্ধন করবো।’

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *