আইন-আদালতবিশেষ সংবাদসারাদেশ

ইভ্যালির দায়িত্বে নতুন বোর্ড থাকছেন শামীমা নাসরিন

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন পরিচালনা পর্ষদ আসছে। এবার দায়িত্ব নিচ্ছেন ৫ জন। শামীমা নাসরিন ছাড়াও রয়েছেন তার মা ফরিদা আক্তার ও বোনের স্বামী মামুনুর রশীদও রয়েছেন। এছাড়া থাকছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী কামরুন নাহার ও ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইক্যাব সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বোর্ডের মিটিংয়ে তাদেরকে নতুন পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়।

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। তাদের এই পদত্যাগপত্রের আবেদন বুধবার আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে। মঙ্গলবার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্ট গঠিত ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। পর্ষদে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদ ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পদত্যাগী পর্ষদ বৃহস্পতিবার নতুন পর্ষদের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে বলে জানা গেছে। এ সিদ্ধান্তও এসেছে হাইকোর্ট থেকেই।

গত ২৪ আগস্ট বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় পর্ষদ সভায় শামীমা নাসরিন, তাঁর মা ও ভগ্নিপতিকে ইভ্যালি পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন। ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এফিডেভিট আকারে তা হাইকোর্টকে জানাতেও বলা হয়েছে আদেশে।

জানা গেছে, আদালতের আদেশ অনুযায়ী এরই মধ্যে ইভ্যালির ওপর একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিদায়ী পর্ষদ। আর ইভ্যালির মালিকানা ছিল এর চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের নামে। দুজনের প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠানটির ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

মোহাম্মদ রাসেল গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। শামীমা নাসরিনও কারাগারে ছিলেন। তিনি জামিনে বের হয়েছেন গত ৬ এপ্রিল। এরইমধ্যে শামীমা নাসরিন তার শেয়ারের একটা অংশ মা ও ভগ্নিপতিকে দিয়েছেন।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *