ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসে নারী যাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসে এক নারী যাত্রীকে (৪০) দলবদ্ধ ধর্ষণের .ঘটনায় বাসচালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর মডেল থানা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস বাসের চালক শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৬) এবং সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশ্বর গ্রামের টিম্বার মিলের মালিক তাজুল ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ তামিম (২১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে আখাউড়ার খরমপুর মাজারে যাওয়া উদ্দেশে এক নারী (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস নামের একটি বাসে ওঠেন। মধ্যরাতে এসে জেলা শহরের কাউতুলী এলাকায় বাস থেকে নামেন। রাত হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে তিনি আখাউড়া যেতে কোনো যানবাহন পাচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস কোম্পানির আরেকটি বাস কাউতুলী মোড়ে এসে দাঁড়ায়। এ সময় আখাউড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এক স্টাফ সেই নারীকে বাসে ওঠায়৷ কিছুদূর যাওয়ার পর ভাদুঘর এলাকায় সেই নারীকে বাসের চালক নজরুল ও বাসের স্টাফ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সেই নারীকে জোরপূর্বক রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশ্বরে তামিম টিম্বার মিলের ভেতরে নিয়ে তারা আবার ধর্ষণ করে। ঘটনাটি দেখে ফেলায় টিম্বার মিলের মালিকের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ তামিম তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সেই নারীকে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তরা ধর্ষণের শিকার নারীকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে কাউতুলী এলাকায় এনে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ শনিবার রাতে দুই যুবককে গ্রেফতার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: এমরানুল ইসলাম বলেন, রোববার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। অপর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।