অপরাধঢাকাসারাদেশ

হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা

শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের  প্রচার সম্পাদক মামুন খান (৩৩) কে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নড়িয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।

নিহত মামুন খান নড়িয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাড়ৈইপাড়া গ্রামের সালাম খানের ছেলে। তিনি নড়িয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে নড়িয়ার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকলেছ ব্যাপারীর সঙ্গে মামুন খানের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। সেই জেরে মোখলেছ ব্যাপারী ও তার লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার পথে নড়িয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পাশে একা পেয়ে মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে নড়িয়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মামুনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, মোখলেছ ব্যাপারী ও তার লোকজন মাদক বিক্রি ও সেবন করে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মামুনকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে সে ও তার লোকজন। এ হত্যার বিচার চাই।

অভিযুক্ত মোকলেছ ব্যাপারী মুঠোফোন জানান, এলাকায় সমস্যা হয়েছে কি না, আমি জানতাম না। আমি বাংলা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বেসরকারি আধুনিক হাসপাতালের সামনে লোকজনের ভিড় দেখে ওখানে নেমে কী হয়েছে জানতে যাই। তখন ওদের লোকজন আমার ওপরে হামলা করে। পরে জানতে পারলাম সন্ধ্যায় মামুন খানের ওপরে কারা হামলা করেছে এবং মামুনকে মেরে ফেলেছে।

তিনি আরও জানান, মাদকের বিষয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা মিথ্যা। আমি তো এলাকায়ই ছিলাম না। ঘটনার পরপরই ওদের লোকজন আমার সমর্থকদের ওপরে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি, প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *