কাঁচা মরিচের কেজি আর এক কাপ চায়ের দাম সমান বগুড়ায়
বগুড়ার মহাস্থান পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দামে হঠাৎ করে কমেছে। মাঝারি মানের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ গতকাল বুধবার বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়। এক মাস আগেও এই দাম ছিল ২৪০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় হঠাৎ করে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। বগুড়ার মহাস্থান বাজার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা ধরনের সবজি পাঠানো হয়।
কৃষকরা বলছেন, মাঠ থেকে বাজরে নেওয়া পর্যন্ত প্রতি কেজি কাঁচামরিচে তিন টাকা খরচ হয়। এ ছাড়া রয়েছে অন্যান্য খরচ, এ বাবদ খরচ হয় আরও এক টাকা। কিন্তু প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করে কৃষকরা পাচ্ছেন ছয় টাকা, যা এক কাপ চায়ের দামের সমান। বগুড়ায় এক কাপ চা বিক্রি হয় ৬ থেকে ১০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল মহাস্থান হাটে পাইকারিতে ভালো মানের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল সর্বোচ্চ ২০ টাকা। মঙ্গলবার এ বাজারে ভালো মানের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৩০ টাকা। মাঝারি মানের কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। আর এক মাস আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের গড় দাম ছিল ২৪০ টাকা।
গতকাল কৃষক আবু সুফিয়ান বলেন, দাম না পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করেন তিনি।
কৃষক ইসহাক আলী বলেন, যে দামে এখন মরিচ বিক্রি হচ্ছে, তাতে চাষের খরচই উঠছে না।
মহাস্থান বাজারে সবজি ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সবজির দাম নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এখন কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম কমে গেছে।
এদিকে মহাস্থান বাজারের ১০ টাকা দামের কাঁচা মরিচ বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারের খুচরায় বিক্রি হয় ৪০ টাকা কেজিতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কয়েক হাত বদলেই দাম বেড়ে খুচরায় চার গুণ হয়ে গেছে। মহাস্থান বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, মহাস্থান বাজার থেকে বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। এ দূরত্বে এক কেজি কাঁচামরিচ বা সবজি পাঠাতে সর্বোচ্চ দেড় টাকা খরচ হয়। অথচ দাম বেড়ে যাচ্ছে চার গুণ।
মহাস্থান বাজার থেকে কাঁচা মরিচ আসে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, মিরপুর কাঁচাবাজারসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও ফেনীর বিভিন্ন বাজারে।