রাশিয়া ও চীনসহ কয়েকটি দেশের যৌথ সামরিক মহড়ায় পুতিন
রাশিয়া ও চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশের যৌথ সামরিক মহড়ায় হাজির হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে এই মহড়া হাজির হন তিনি। ইউক্রেনে আক্রমণের ঘটনায় পশ্চিমাদের সঙ্গে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য এই মহড়া আয়োজন করেছে রাশিয়া।
সপ্তাহব্যাপী মহড়াটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। চীনের সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক যে জোরদার হচ্ছে তা তুলে ধরতেই এই প্রয়াস। এর মাধ্যমে মস্কো দেখাতে চাইছে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনে যুদ্ধে লিপ্ত হলেও দেশটির পর্যাপ্ত সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে এমন বড় মহড়া আয়োজনের জন্য।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ভস্তক ২০২২ মহড়া চলবে বুধবার পর্যন্ত। ভালেরি গেরাসিমভের তত্ত্বাবধানে এ যৌথ সামরিক মহড়ায় রাশিয়ার সঙ্গে চীন, ভারত, লাওস, মঙ্গোলিয়া, সিরিয়া ছাড়াও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ অংশ নিয়েছে। চলমান মহড়ায় এসব দেশের ৫০ হাজারের বেশি সেনা ও ৫ হাজারের বেশি সামরিক ইউনিট যুক্ত রয়েছে। রাশিয়ার বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে ও দেশটির পূর্ব উপকূলের জলসীমায় এ মহড়া চলবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার বিরোধ চলছে। অন্যদিকে তাইওয়ান ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে চীন ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়া এবং এ কার্যক্রম পুতিনের পরিদর্শনের ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল তান কেফেই বলেছিলেন, এ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতামূলক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বেইজিং এতে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আসা নিরাপত্তা হুমকি যৌথভাবে মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে এমন বড় সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল দেশগুলো। এদিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভস্তক-২০২২-এ চীনের সেনা-বিমান-নৌবাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। মহড়ার অংশ হিসেবে জাপান সাগরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে সামরিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন তাঁরা।
এতে ৫০ হাজারের বেশি সেনা, ১৪০টি যুদ্ধবিমান ও ৬০টি যুদ্ধজাহাজসহ ৫ হাজার অস্ত্র ইউনিট অংশ নিচ্ছে।চীন ২ হাজার সেনা ও তিন শতাধিক সামরিক যান, ২১টি যুদ্ধবিমান ও ৩টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে।