আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নতুন আরেকটি মামলা
স্ত্রী-সন্তানদের ভরণপোষণ ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচ দাবি করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ তুলে ২০১০ সালের পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের ১৫(১)(এ)(বি) (সি)/১৬(৫)(৬) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর আল-আমিনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়াশোনা করছে। আল-আমিন বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ প্রদান করেন না এবং খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন।
সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবেন না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন। পরকীয়ায় আসক্তের কারণে এ কাজ করেছেন এবং একজন নারীর সঙ্গে উঠানো ছবি ইসরাতের কাছে পাঠান।
দুই বছর ধরে আল-আমিন তার স্ত্রীর খোঁজখবর নেন না এবং বাসায় নিয়মিত থাকে না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলাটি করেন। জীবনধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়াবাবদ মাসে ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আল-আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাথাড়ি কিলঘুসিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। সংসার করবেন না বলে জানান।
পরে রাজধানীর মিরপুর থানায় আল-আমিনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করেছিলেন ইশরাত জাহান। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আল-আমিন তাকে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করেছেন। এ ছাড়া আল-আমিন সন্তানসহ তাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে।
মঙ্গলবার নির্যাতন ও যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আল-আমিন আত্মসমর্পণ করার পর হাইকোর্ট তাকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে।