বাজেটসারাদেশ

সরকারিভাবে খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, সরকারিভাবে ১০ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান, ২০২২ চলমান খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএসসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা রাশিয়া থেকে ৫ লাখ মেট্রিকটন গম এবং ভারত থেকে এক লাখ টন চাল, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন এবং মিয়ানমার থেকে ২ লাখ টন চাল আমদানি করবো। এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ মজুদ আছে আমাদের।

তিনি বলেন, সরকারিভাবে আমরা আরও চাল কিনবো। এ অর্থবছরে ১০ লাখ টনের বেশি চাল আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে। এ বছর জলবায়ু পরিস্থিতি খারাপ, ফলে আমন সংগ্রহ কম হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমাদের গম নিয়ে যে সংকট ছিল সেটা কেটে গেছে। আমাদের বছরে ৭ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন আসবে, পাইপ লাইনে রয়েছে এক লাখ টন এবং গুদামে মজুদ আছে এক লাখ ৩০ হাজার টন গম।

আরও বলেন, সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ টন সিদ্ধ ও ৩০ হাজার টন আতপ মিলে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। এক লাখ টন চাল ভারত থেকে কেনা হবে। রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আনার জন্য ইতোমধ্যে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এরপর চুক্তি হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে হয়তো এলসিও হয়ে যাবে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আরও ২ লাখ টন চাল আনার প্রস্তাব আগামীকাল (বুধবার) ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টন সিদ্ধ চাল ৫২১ ডলার ও আতপ চাল ৪৯৪ ডলার করে পড়বে। প্রতি টন চাল ভারত থেকে ৪৪৩ দশমিক ৫ ডলার ব্যয়ে আনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

সরকার ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ডের চাল বেশি দামে কিনছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের কাছে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। তারা সেভাবে সাড়া দেয়নি। আগে চুক্তির পরও চাল নেওয়া হয়নি বলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে মতবিরোধ আছে। তারপরও তারা এগিয়ে এসেছে। আমরা থাইল্যান্ড থেকে চাল নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানের কারণে ভিয়েতনামের চালের দাম একটু বেশিই থাকে। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে যেখান থেকে পারবো চাল আনতে হবে। টাকার দিকে তাকিয়ে তো লাভ নেই।

তিনি বলেন, আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকার কারণে ৪৭ হাজার টনের মতো চাল এসেছে। শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আশা করি কিছু চাল আরও আসবে। মোটা চাল নয়, মধ্যম মানের সরু চাল আসবে বলে আমরা বিশ্বাস।

চাল আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা চাল আনতে পারবেন তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *