রত্নাকে রেখে স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফেরত গেলেন ইতালি যুবক
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর চাড়োলের খোকোবাড়ি গ্রামে বাংলাদেশি এক তরুণী রত্না রানী দাসকে (১৯) গত জুলাই মাসে বিয়ে করেছিলেন ইতালির যুবক আলী সান্দ্র্রো চিয়ারোমিন্ডে। তরুণী রত্না রানী দাসের (১৯) বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খোকোপাড়া গ্রামে। তার বাবা মারকুস দাস।
বিয়ের কিছুদিন পর নবনিবাহিত স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিসা নিয়ে আসার কথা বলে ইতালি ফেরত যান আলী সান্দ্রো। কিন্তু সেখানে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ইতালির ওই নাগরিক।
কিছুদিন আগে আলী সান্দ্রে ফেরত গেছেন নিজ দেশ ইতালিতে। ভিসা না হওয়ায় যেতে পারেননি মারকুস দাসের মেয়ে রত্না। আলী সান্দ্রের ইতালিতে রয়েছেন স্ত্রী ও ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতালির নাগরিক ইতালির বুস্তো গারল্ফো এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে তার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও ১০ বছরের একটি ছেলেসন্তান। আলী সান্দ্র্রো পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বাংলাদেশি তার এক সহকর্মীর সঙ্গে বাংলাদেশে আসেন। পরিবারের লোকজনকে বলেছে কাজের জন্য তাকে কিছুদিন অন্য এক শহরে গিয়ে থাকতে হবে। কিছুদিন পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, তিনি বাংলাদেশে গিয়ে ওই সহকর্মীর ভাতিজিকে বিয়ে করেছেন। পরে সেই নাগরিক ইতালিতে ফিরে গেলে তার পরিবার বাংলাদেশের মেয়েকে বিয়ের কথা জানতে চাইলে প্রথমে সে অস্বীকার করলেও পরে জানায় মেয়ের পরিবার মেয়েটিকে বিয়ে করে ইতালিতে আনার বিনিময়ে তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিবে।
রত্নাদের প্রতিবেশী বলেন, বিদেশিরা এভাবে প্রতারণা করে আমাদের দেশের মেয়েকে বিয়ে করা ঠিক হয়নি। বিয়ে দেয়ার আগে আরও খোঁজ খবর নেয়া উচিত ছিল।