২০০ টন আমদানি করা পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় ফেলে দেওয়া হল
চট্টগ্রামে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আমদানি করা ২০০ টন পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ তুরস্ক থেকে আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু বন্দর থেকে খালাস হতে দেরি হওয়ায় পেঁয়াজ পচে গেছে। পচে যাওয়া পেঁয়াজ ফেলা হয়েছে নগরীর ইপিজেড এলাকায় টিসিবি কার্যালয়ের পাশের পুকুরের সাথে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশের এলাকায়।
নষ্ট পেঁয়াজের বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। এর দায়ভার তুরস্কের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে বলে টিসিবি দাবি করেছে। এদিকে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলোতে এ পণ্যটি মিলছে না। ফলে ন্যায্যমূল্যের পেঁয়াজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা।
তুরস্ক থেকে টিসিবি বিভিন্ন পরিমাণের ১১ লট পেঁয়াজ আমদানি করে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজটি এক মাস ধরে আটকে ছিল। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডকুমেন্ট সরবরাহ করতে না পারায় পেঁয়াজগুলো ১ মাস ধরে খালাস করতে পারেনি টিসিবি। দীর্ঘ সময় পর জাহাজ থেকে পেঁয়াজগুলো খালাসের পর দেখা গেছে, প্রায় ২০০ টনের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে।
সরকারি এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্টের দায়ভার কে নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও টিসিবি দাবি করেছে, রপ্তানিকারক তথা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো ডকুমেন্ট দেয়নি। এ কারণে তারা যথাসময়ে পণ্য খালাস করতে পারেনি। তাছাড়া টিসিবির সঙ্গে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের যে চুক্তি সে অনুযায়ী যত টন পণ্য টিসিবির গুদামে গ্রহণ করা হবে ঠিক তত টন পণ্যের বিল পরিশোধ করা হবে। নষ্ট পণ্যের বিল সরকার কোনো অবস্থাতেই দেবে না।
টিসিবি চট্টগ্রামের প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সময়মতো খালাস নিতে না পারায় ২০০ টনের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। বাছাই শেষে নষ্ট পেঁয়াজ ফেলে দিতে হয়েছে। তুরস্কের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সময়মতো শিপিং ডকুমেন্ট সরবরাহ করতে না পারায় পেঁয়াজগুলো খালাসে দেরি হয়েছে। এ কারণে এক লটের প্রায় ২০০ টনের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নিজেরাই পেঁয়াজ বাছাই করেছেন। খারাপ বা নষ্ট পণ্য আমরা নেইনি।