বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হত্যা মামলায় ৪ জন মৃত্যুদণ্ড এবং ২ জন যাবজ্জীবন
কক্সবাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন ফয়সাল হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ওই রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নুরুচ্ছফার ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ (২৫), প্রয়াত আমান উল্লাহর ছেলে নুরুল হক (২৮), প্রয়াত অছিউর রহমানের ছেলে রমজান (৩০) ও মো. ইসহাকের ছেলে রুবেল (২৩)। তারা সবাই কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের পূর্ব মাছুয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন, আবছারের ছেলে শাহিন (২৫) ও দুদু মিয়ার ছেলে মনি আলম (২৪)। তারাও পূর্ব মাছুয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নের পূর্ব মাছুয়াখালি জামে মসজিদের সামনে জিয়া উদ্দিন ফয়সালকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে মাদক কারবারিরা। ওই ঘটনার পরদিন ১৭ এপ্রিল ৯ জনকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা মো. নুরুল আনোয়ার । পরে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ।
এ বিষয়ে সরকারি কুশলী ফরিদুল আলম বলেন, অভিযোগপত্রের ৬ জনের বিরুদ্ধেই আদালত চার্জ গঠন করে। ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। সাক্ষ্য প্রমাণে আদালতের কাছে আসামিরা দোষী প্রমাণিত হয় । একারণে এ মামলায় সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করেছেন আদালত।
বাদী মো. নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট হতে পারছি না।’
আদালতের পর্যবেক্ষণ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস. এম আব্বাস উদ্দিন বলেন, ফয়সাল ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে খুন হন। একটি প্রতিবাদী কণ্ঠকে রুদ্ধ করে দিতেই মাদক কারবারিরা এক্যবদ্ধ হয়ে হত্যার ঘটনা ঘটায়। এমন আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত।