মাত্র ৯ সেকেন্ডে ভাঙা হল সুপারটেক টুইন টাওয়ার ভবন
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভাঙা হল নয়ডার বেআইনিভাবে তৈরি সুপারটেক টুইন টাওয়ারস। মাত্র ৯ সেকেন্ডে ধুলায় মিশে গেল জোড়া বহুতল ভবন।
রবিবার দুপুর ২.৩০নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে ফেলা হয় এই গগনচুম্বী জোড়া অট্টালিকা। এই কাজের জন্য ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই সময় বিস্ফোরণের রিমোট ছিল হরিয়ানার হিসারেরর বাসিন্দা চেতন দত্তের হাতে। তিনি বোতাম টিপতেই শুরু হয় বিস্ফোরণ। তাতেই ভেঙে পড়ে জোড়া বহুতল ভবন । গত বছর এই জোড়া বহুতল ভবন ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো এদিন ভেঙে ফেলা হয় বেআইনি নির্মাণ।
কীভাবে ভাঙা হল ১০০ মিটারের বেশি উঁচু সুবৃহৎ জোড়া বহুতল? আদালতের নির্দেশ আসার পরই এই কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এডফিস ইঞ্জিনিয়ারিংকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার জেট ডেমোলিশন নামে একটি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিস্ফোরণের মাধ্যমে জোড়া বহুতল ভাঙার পরিকল্পনা করে তারা। এরপর নিয়ন্ত্রণ বিস্ফোরণে নয়ডার টুইন টাওয়ার ভাঙার নীল নকসা তৈরি করেন জো ব্রিঙ্কম্যান। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান সংস্থার সিইও।
সেই মতো আগেভাগেই খালি করা হয়েছিল টুইন টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা। বিস্ফোরণের সময় ওই এলাকায় ছিলেন মাত্র ছ’জন। দক্ষিণ আফ্রিকান সংস্থার কর্নধার জো ব্রিঙ্কম্যান ছাড়াও তার সংস্থার দুই বিশেষজ্ঞ, এডফিস ইঞ্জিনিয়ারিং এক কর্মকর্তা, একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার ছিলেন সেখান। আর ছিলেন চেতন দত্ত্। তার হাতেই ছিল বিস্ফোরণের রিমোট।
রবিবার দুপুর আড়াইটে বাজতেই ব্ল্যাক বক্সের সাথে সংযুক্ত হ্যান্ডেলটি ১০ বার ঘুরিয়ে দেন চেতন। শুরু হয় কাউন্টডাউন। এরপর হাতে থাকা রিমোটে সবুজ বোতাম টিপে দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সংকেত পৌঁছে যায় ডেটোনেটরের কাছে। শুরু হয় সিরিজ বিস্ফোরণ। মাত্র ৯ সেকেন্ডে ধুলায় মিশে যায় ১০০ মিটারের চেয়ে বেশি উঁচু এই গগনচুম্বী অট্টালিকা।
নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণে টুইন টাওয়ার ভাঙার পরিকল্পনা করলেও কেন নিজের হাতে রিমোট রাখেননি জো ব্রিঙ্কম্যান।ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও আইনের ফাঁসে এই কাজ করতে পারেননি তিনি। ভারতের আইন অনুসারে শুধুমাত্রে দেশের নাগরিকরাই এই কাজ করতে পারে। সেই কারণেই বিদেশি ব্রিঙ্কম্যানের বদলের ভারতীয় চেতন দত্তের হাতে ছিল রবিবারের এই বহু আলোচিত বিস্ফোরণের রিমোট ।সূত্র: টিওআই