শ্বশুরবাড়িতে বোনকে রাখতে গিয়ে ভাই সড়কে প্রাণ হারালেন
গত সোমবার বিয়ে হয় আঞ্জুয়ারা বেগম ও রায়হান হোসেনের। পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার বরকে নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন গতকাল বুধবার আঞ্জুয়ারাকে নিতে আসেন।
ওই দিন রাতেই ভাই আলমগীরকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীসহ মাইক্রোবাসে করে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথেই মাইক্রোবাসটি উল্টে আঞ্জুয়ারার ভাই আলমগীর হোসেন নিহত হন।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার তারাগঞ্জ-বুড়িরহাট সড়কের কৃষ্ণপুর মোড়ে গতকাল রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে রায়হান, আঞ্জুয়ারাসহ চারজন আহত হন।
পুলিশ ও নিহত আলমগীরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে আঞ্জুয়ারা বেগমের (২২) সাথে সোমবার তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের রায়হান হোসেনের(২৪) বিয়ে হয়।
আঞ্জুয়ারা স্বামী, ভাইসহ শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারাগঞ্জ-বুড়িরহাট সড়কের কৃষ্ণপুর মোড়ে পৌঁছালে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মাইক্রোবাসটি উল্টে যায়।
এই সময় মাইক্রোবাসে থাকা আঞ্জুয়ারার বড় ভাই আলমগীর হোসেনের পেটে জানালার কাচ ঢুকে গেলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আজ বৃহস্পতিবার আঞ্জুয়ারার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সদ্য শেষ হওয়া বিয়েবাড়িতে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নববধূ আঞ্জুয়ারা কান্না করছিলেন আর মূর্ছা যাছিলেন। নিহত আলমগীরের বাবা রফিকুল ইসলামও বিলাপ করে কান্না করছিলেন।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ দুর্ঘটনার বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।