অপরাধচট্টগ্রামসারাদেশ

কক্সবাজারে মাদ্রাসা শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা

কক্সবাজারের মহেশখালীতে জিয়াউর রহমান (৫৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে কুপিয়ে হত্যা করেছে । এ সময় স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী রহিমা আক্তারও (৪০) গুরুতর আহত হয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার (২৫আগস্ট) দুপুর ১ টায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা বালিকা মাদ্রাসার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৮/১০ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে মাদ্রাসা শিক্ষক জিয়াউর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় তার স্ত্রী রহিমা বেগমকেও কুপিয়ে জখম করে তারা। রহিমা বেগমের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নূরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানার কমিটি গঠন নিয়ে জিয়াউর রহমান ও তাঁর ভাতিজা নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক নছর উল্লাহর সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানের আরেক শিক্ষক দানু মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে ইতিমধ্যে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে থানায় একাধিক মামলাও হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সালিস হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শেখ কামাল বলেন, স্থানীয় নূরানী মাদ্রাসার কমিটি গঠন নিয়ে জিয়াউর রহমান ও দানু মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় একাধিক মামলাও হয়েছে। এ বিরোধের জের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *